বিশ্বের প্রতিটা মানুষেরই কম বেশি নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তার মধ্যে তকের ঘা খুবই একটি কমন অসুখ। তবে অসুখটা একটু জটিল হলেও বর্তমানে এর অনেক ধরনের প্রতিশেধক বের হয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করি তাহলে খুব সহজেই ত্বকের ঘা থেকে মুক্তি পাব। আমরা আজকে আলোচনা করবো ত্বকের ঘা হলে যা করতে হবে তা নিচে বর্নণা করা হলো।
এফান – Afun

উপাদান:
প্রতি গ্রামে ক্রীমে আছে ক্লোট্রিমাজল ১০ মি. গ্রা. ।
নির্দেশনা:
ট্রাইকোফাইটন প্রজাতি দ্বারা সৃষ্ট সব ডার্মাটোমাইকোসিস, মোল্ডস্ ও অন্যান্য ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট ডার্মাটোমাইকোসিস এবং ত্বকের রোগসমূহ যেগুলোতে ছত্রকজনিত সংক্রমণ সমূহ দেখা যায়। উপরের উল্লেখিত ডার্মাটোমাইকোসিস গুলোর মধ্যে আছে ইন্টারডিজিটাল মাইকোসিস প্যারোাইকিয়াস, ক্যানডিডা ব্যালানিটিস, পিটাইরিয়াসিস ভারসিকালার।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি:
দৈনিক ২-৩ বার আক্রান্ত স্থানে।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:
ক্লোট্টিমাজলের প্রতি অতি সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
খুবই কম ক্ষেত্রে প্রয়োগস্থানে চুলকানি বা জ্বালা পোড়া হতে পারে।
অন্য ঔষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
এখন পর্যন্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে গর্ভকালীন সময়ে ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দিতে পারেন।
সরবরাহ:
এফান ক্রীম : ১০ গ্রাম।
ব্যাকট্টোসিন – Bactrocin

উপাদান:
প্রতি গ্রাম অয়েন্টমেন্টে আছে মিউপিরোসিন ২০ মি. গ্রা.।
নির্দেশনা:
ব্যাক্ট্রোসিন অয়েন্টমেন্ট ইমপেটিগোর ত্বকীয় চিকিৎসায় নির্দেশিত।
মাত্র ও ব্যবহার বিধি:
আক্রান্ত স্থানে দিনে ৩ বার করে ১০ দিন।
সতর্কতা ও যেসব স্থানে ব্যবহার করা যাবে না:
মিউপিরোসিন অথবা এই প্রিপারেশনের অন্যান্য উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা আছে এমন ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
স্থানীয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ নিম্নরূপঃ জ্বালা-পোড়া, স্টিংগিং অথবা ব্যথা, চুলকানি, বমি বমি ভাব, ইরাইথেমা, শুষ্ক ত্বক, টেন্ডারনেস, সোয়েলিং, কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস এবং এক্সূডেট-এর বৃদ্ধি।
অন্য ঔষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
অন্যান্য ঔষুধের সাথে মিউপিরোসিন-এর ব্যবহারের ফলাফল পরীক্ষা করা হয়নি।
গর্ভবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী ‘বি’। স্তন্যদানরত মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।
সরবরাহ:
ব্যাক্ট্রোসিন অয়েন্টমেন্ট ১০ গ্রাম।
ডি-র্যাশ – De-rash

উপাদান:
প্রতি গ্রাম অয়েন্টমেন্টে আছে জিংক অক্সাইড ৪০০ গ্রাম।
নির্দেশনা:
শিশুদের ডায়াপার ব্যবহার এর কারনে সৃষ্ট ফুসকুড়ির চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য প্রতিরোধক বেষ্টনি গড়ে তোলে। ডি-র্যাশ সহজে লাগানো এবং মুছে ফেলা যায়। প্রতিবার ডায়াপার পরিবর্তনের সময়, ঘুমানোর সময় এবং লম্বা সময় ধরে ডায়াপার ব্যবহারের পূর্বে ডি-র্যাশ ব্যবহার করা ভালো।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
ডি-র্যাশ ব্যবহারের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:
ইহা শুধু মাত্র বাইরে ব্যবহারের জন্য চোখের সংস্পর্শে যেন না আসে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ৭ দিন ঔষধটি ব্যবহারের পরও কোন উন্নতি না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কেননা এটি অন্য কোন রোগের লক্ষনও হতে পারে। শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। কোন শিশু এটি খেয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সরবরাহ:
ডি-র্যাশ অয়েন্টমেনট ২৫ গ্রাম।
বিভিন্ন কারনে আমদের নানা ধরনের অসুখ হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা চাই সবসময় সুস্থ থাকতে। যদিও অনেক সময় অসুখের সম্মুখিন হতে হয়, কিন্তু সবময় হতের কাছে চিকিৎসক না থাকায় আমদের নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। এ ধরনের সমস্যা থেকে বাচার জন্য আমদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। আসা করি ছোট-খাটো অসুখের আপনার নিজেরাই চিকিৎসা করতে পারবেন। তো আজকে এখানেই শেষ করছি ত্বকের ঘা হলে যা করতে হবে তার বিস্তারিত আলোচনা।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
1 thought on “ত্বকের ঘা হলে যা করতে হবে”